চিলাহাটি ওয়েব, রকমারি ডেস্ক : মানসিক চাপের কারণে শুধু হতাশা, বিষন্নতা ও অবসাদই তৈরি হয় না। সেই সঙ্গে
বেড়ে যায় ওজনও। ভগ্ন মন শরীরে ভর করে বলেই দেহ নামক যন্ত্রে বাসা বাঁধতে
শুরু করে নানা রোগবালাই। শারীরিক স্থূলতা বা অতিরিক্ত ওজনের জন্য মানসিক
চাপকে দায়ী করেছেন অনেক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক। নাগরিক জীবনে শারীরিক, মানসিক ও
অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা মানুষকে ক্লান্ত করে তুলছে। কর্মক্ষেত্র থেকে শুরু
করে পারিবারিক সমস্যা, ব্যক্তিগত সম্পর্কÑযেকোনো কিছু থেকেই মানসিক চাপ
দেখা দিতে পারে। এই মানসিক চাপের প্রভাব এতোটাই বেশি যে, নিয়মিত ব্যায়াম বা
ডায়েট করলেও ওজন কমে না। মন বিষণœ থাকলে এড্রেনালিনসহ দেহে বিভিন্ন হরমোন
নিঃসরণে রক্তে শর্করা বেড়ে যায়। এতে ক্লান্তি ভর করে অনিদ্রাসহ নানা কারণে
অবসন্নতা চলে আসে প্রতিদিনের জীবনে। এতে করে কারণে-অকারণে খাওয়ার প্রবণতা
বাড়ে, নানা ধরনের অস্বাস্থ্যকর অভ্যাস ঘিরে ধরে। যার ফলে শরীর আরও ক্লান্ত
হতে শুরু করে এবং ধীরে ধীরে বাড়ে অলসতা। দীর্ঘস্থায়ী মানসিক চাপে রক্তে
শর্করার মাত্রা ঠিক থাকে না বলেই ক্ষুধা লাগে আর তখন খেলেই তৃপ্তি বোধ হয়।
এতে শরীরে মেদই বাড়ে না, ডায়াবেটিস রোগও হতে পারে। তাই ওজন নিয়ন্ত্রণে
মানসিক চাপ কমানোর কোনো বিকল্প নেই। হতে হবে উদ্যোগী ও অধ্যবসায়ী, থাকতে
হবে ইচ্ছে ও প্রাণন্ত চেষ্টা। তাই ব্যক্তিগত, পারিবারিক ও কর্মক্ষেত্রের
মানসিক চাপের কারণগুলো চিহ্নিত করে নিতে হবে। তারপর চাপমুক্ত হওয়ার
উপায়গুলো খুঁজে দেখুন। হতাশাকে মনে স্থান দেবেন না। সব সবময় ভাবুন, আপনি
ভালো আছেন অনেকের তুলনায়। এমন অনেক লোক আছে যে আপনার থেকে বেশি সমস্যার
মধ্যে দিনযাপন করছেন। আপনি হয়তো আপনার সামাজিক-অর্থনৈতিক অবস্থান নিয়ে
অসন্তুষ্ট। কিন্তু এই আপনার অবস্থানে আসার জন্যই অনেকে স্বপ্ন দেখছেন। তাই
নিজেকে হতাশায় ডুবিয়ে রাখবেন না। সুস্থ খাদ্যাভ্যাস এবং নিয়মিত শরীরচর্চার
করার চেষ্টা করুন। দেখবেন শরীর ও মন দুটোই ভালো আছে।